Headlines
Loading...

ব্রাশ আর মেসওয়াক

ব্রাশ হলো দাঁত পরিষ্কার করার একটি বৈজ্ঞানিক মাধ্যম আর মেসওয়াক হল মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। মেসওয়াক করলে দাঁত পরিষ্কার হয়। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মেসওয়াক নিয়ে অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
ব্রাশ করতে প্লাস্টিকের ব্রাশ এবং টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হয় যা আমাদের মুখে, দাঁতে, মাড়ি ও জিব্বার জন্য অনেক ক্ষতিকর। অপরদিকে মেসওয়াক এর জন্য পিলুগাছ, নিমগাছ, বাবলা গাছ যেকোনো একটি হলে নবীজির সুন্নত আদায় হবে।

ব্রাশ আর মেসওয়াক এর ১০টি পার্থক্য

১. ব্রাশ করার জন্য প্লাস্টিকের ব্রাশ এবং টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হয় কিন্তু, মেসওয়াক এর জন্য পিলো গা, নিমগাছ, বাবলা গাছের যে কোন একটি গাছের ডাল ব্যবহার করতে হয়।
২. ব্রাশ করলে দাঁত মাড়ি এবং জিব্বার অনেক ক্ষতি হয় কিন্তু, মেসওয়াক করলে দাঁত মাড়ি এবং জিব্বার কোন ক্ষতি হয় না।
৩. ব্রাশ করা সুন্নত না কিন্তু, মেসওয়াক করা সুন্নত।
৪. ব্রাশ করলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয় না কিন্তু, মেসওয়াক করলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়।
৫. ব্রাশ করলে দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না কিন্তু মেসওয়াক করলে দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার হয়।
৬. ব্রাশ করলে রুচি কমে কিন্তু মেসওয়াক করলে রুচি বাড়ে।
৭. ব্রাশ করলে কোন লাভ নেই কিন্তু মেসওয়াক করলে একনেকের বদৌলতে ৭০ নেকি পাওয়া যায়।
৮. ব্রাশ করলে আল্লাহ খুশি হয় না কিন্তু বেশ অবাক করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হয়।
৯. ব্রাশ করলে আমাদের নবী হযরত নবী সাল্লালাহু সালাম  সুন্নত আদায় হয় না কিন্তু মেসওয়াক করলে মহানবীর সাল্লাহু সালাম এর সুন্নত আদায় হয।
১০. ব্রাশ করলে আখেরাতে কোন মূল্য পাওয়া যাবে না কিন্তু মেসওয়াক করলে আল্লাহ তায়ালা আখিরাতে মূল্য বাড়িয়ে দিবে।

এই হল মেসওয়াক ও ব্রাশ এর মধ্যে পার্থক্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে মেসওয়াক করে হযরত নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতের উপর আমল করার তৌফিক দান করুক।

0 Comments: